ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকার করণীয়
ডেঙ্গু রোগ হচ্ছে একটি মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ যেটি ছড়ায় মূলত এডিস মশার মাধ্যমে। বর্ষাকালে বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যায়। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধ কিংবা প্রতিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা আমাদের অত্যন্ত জরুরি। তাহলে চলুন জেনে নেই, এই নিবন্ধে ডেঙ্গু রোগের প্রতিরোধ ও প্রতিকার করার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ কী ?
এই রোগের প্রধান লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
- তীব্র মাথাব্যথা
- উচ্চ জ্বর
- বমি বমি ভাব ও বমি
- চোখের পিছনে ব্যথা
- পেশী ও জয়েন্টে ব্যথা
- ত্বকে ফুসকুড়ি
ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে দ্রুত সুস্থ হওয়ার উপায়?
ডেঙ্গু প্রতিরোধে যেসকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে টা হলো:
১. মশার প্রজনন ধ্বংস করা সাধারণত
এডিস মশা ডিম পাড়ে স্থির পানিতে। তাই আমাদের উচিত বাড়ির আশেপাশে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করে রাখা। ডাবের খোসা, ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র ইত্যাদি স্থানে পানি জমতে দেওয়া উচিত না পরিষ্কার করে ফেলা।
২. মশার কামড় থেকে বাঁচতে হবে
আর মশার কামড় হতে বাঁচতে মশারি ইউজ করুন, লম্বা হাতা ও লম্বা পায়ের পোশাক পরিধান করুন এবং মশা নিরোধক ক্রিম ইউজ করুন।
৩. মশা নিধন
নিয়মিত স্প্রে করুন বাড়ির আশেপাশে মশা নিধনের জন্য। এছাড়া এইসব মশার জৈবিক নিয়ন্ত্রণ করার জন্য গাপ্পি মাছ গুলো ব্যবহার করতে পারেন। এটা ভালো উপায় আমি মনে করি।
ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার
ডেঙ্গু রোগ হলে কিছু প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে:
১. পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম
রোগীকে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিতে হবে ডেঙ্গু রোগ হলে। আপনার শরীরের শক্তি পুনরুদ্ধারের বা শক্তি ঘটনের জন্য বিশ্রাম অনেক জরুরি।
২. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন
ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হলে শরীরে দেখা দিতে পারে পানিশূন্যতা। তাই আপনাদের প্রচুর পানি, স্যুপ এবং ফলের রস পান করা উচিত।
৩. প্যারাসিটামল সেবন করা
আপনার জ্বর এবং ব্যথা কমানোর জন্য প্যারাসিটামল সেবন করতে পারেন। তবে আইবুপ্রোফেন কিংবা অ্যাসপিরিন এই ধরনের ওষুধ খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলুন।
৪. ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ
কারো ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ দেখা দিলে তখন যত দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আর ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত। ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে অবহেলা করবেন না, নিজে নিজে চিকিৎসা করবেন না।
৫. ডেঙ্গু প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি। সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কাজ করতে হবে। সরকার ও জনগণের সমন্বিত উদ্যোগই পারে ডেঙ্গু মহামারি থেকে আমাদের সুরক্ষিত রাখতে।
উপসংহার
বন্ধুরা ডেঙ্গু রোগ সম্পর্কে এই আর্টিকেলটা আপনাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছে। আর ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি, বিশেষ করে বর্ষাকালে যখন এডিস মশার প্রজনন বৃদ্ধি পায়। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশার প্রজনন ধ্বংস করা, মশার কামড় থেকে বাঁচা এবং মশা নিধনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা অবশ্যই উচিত। কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, প্রচুর পানি পান এবং প্যারাসিটামল সেবন করা উচিত। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী ঔষদ সেবন করা। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সমন্বিত উদ্যোগই পারে ডেঙ্গু রোগ থেকে আমাদের সুরক্ষিত রাখতে।
আশা করি এই আর্টিকেলটা আপনাদের উপকারে আসবে এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে সহায়ক হবে। নিরাপদ থাকুন!